খেজুরের গুড়

Ingredients

• প্রধান উপাদান: খেজুরের রস (Date Palm Sap): এটা গুড়ের একমাত্র এবং প্রধান প্রাকৃতিক উপাদান। শীতকালে সন্ধ্যার পর গাছ থেকে এই রস সংগ্রহ করা হয়। ঐচ্ছিক: অন্যান্য চিনি/প্রিজারভেটিভ: বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিনির সাথে রঙ মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বা গুড়ের পরিমাণ বাড়াতে ময়দা ব্যবহার করে। খাঁটি গুড়ে সাধারণত অন্য কোনো উপকরণ মেশানো হয় না।

Benefits

• চিনির চেয়ে খেজুরের গুড় স্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি উপকারী: খনিজ পদার্থ: গুড়ে সাধারণত আয়রন
• ক্যালসিয়াম
• ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে। হজমে সহায়ক: খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে গুড় সাহায্য করে বলে প্রচলিত ধারণা আছে। আয়রন ও রক্তাল্পতা: গুড়ে আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিক মিষ্টি: এটা চিনির চেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত এবং তাই স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। তাৎক্ষণিক শক্তি: এতে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে এটা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।

Key Features

• টেক্সচার: গুড় শক্ত (পাটালি গুড়)
• নরম (নলেন গুড়) বা আঠালো তরল (ঝোলা গুড়) হতে পারে। ছবির বস্তুটি সম্ভবত পাটালি গুড়ের নরম বা ঘন প্রক্রিয়াজাত রূপ। স্বাদ: এর স্বাদটা হলো প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং সাথে এর একটা বিশেষ সুগন্ধ (Fragrance) থাকে
• যা একে চিনির চেয়ে আলাদা করে। সংরক্ষণ: শুকনো অবস্থায় (পাটালি গুড়) এটা অনেক দিন ভালো থাকে। তবে বাতাস লাগলে বা আর্দ্রতা পেলে এটা গলে যেতে শুরু করে।

Usage

মিষ্টি তৈরিতে: বিভিন্ন পিঠা (যেমন: পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা), পায়েস এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি তৈরিতে এটা ব্যবহার করা হয়। চাহে (চা): গুড়ের চা বা লিকার চা বানানোর জন্য গুড় ব্যবহার করা হয়, যা স্বাদ ও সুগন্ধে অন্যরকম। সরাসরি খাওয়া: অনেকে এটা সরাসরি বা রুটির সাথে মেখে খেতে পছন্দ করেন। অন্যান্য রান্না: কিছু ঐতিহ্যবাহী রান্না বা মুড়ি-মুড়কি মাখানোর কাজেও গুড় ব্যবহার করা হয়।

Warnings

খেজুরের গুড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে: ভেজাল: বাজারে প্রায়ই ভেজাল গুড় পাওয়া যায়, যেখানে চিনি বা কৃত্রিম রং মিশানো থাকে। খাঁটি গুড় চেনার জন্য এর গন্ধ ও স্বাদ যাচাই করা জরুরি। ডায়াবেটিস: গুড় প্রাকৃতিক হলেও এর মূল উপাদান শর্করা। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। সংরক্ষণ: গুড় আর্দ্রতা শোষণ করে দ্রুত গলে যেতে পারে। তাই এটাকে শুকনো ও ঠাণ্ডা জায়গায় বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। অতিরিক্ত সেবন: চিনির মতোই অতিরিক্ত গুড় খেলে ওজন বৃদ্ধি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।